প্রাতিষ্ঠানিক সূত্রপাত
স্থাপিত : ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
জহিরিয়া মোম্বাউল উলূম উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম। ওলিকুল শিরোমনি হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর অন্যতম সঙ্গী হযরত শাহপরান (রহঃ) ,হযরত শাহ সুন্দর (রহঃ) ও হযরত সৈয়দ জাহান (রহঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত আমাদের দক্ষিণ কাছ পরগনা বর্তমান ৪ নং খাদিম পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ। ১৯২৮ ইংরেজিতে যখন সিলেট শহরে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও জৈন্তাপুর থানা সদরে সেন্ট্রাল জৈন্তা হাইস্কুল ব্যতীত মধ্যবর্তী স্থানে ইংরেজি সহ অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা লাভ করার মতো কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। সেই সময়ে সিলেট শহর হইতে সাড়ে দশ কিলোমিটার পূর্বে আমাদের এই ৪ নং খাদিমপারা ইউনিয়নে সিলেট তামাবিল রাস্তার দক্ষিণ পাশে উচু টিলার উপরে মনোরম পরিবেশে দুইটি কওমি মাদ্রাসার সমন্বয়ে ১৯২৮ ইং সালে স্থাপিত হয় জহিরিয়া এম, ইউ, এম, ই মাদ্রাসা। জহিরিয়া মাদ্রাসা ছিল্ পীরের বাজারের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দীন চৌধুরী। মোম্বাউল উলুম মাদ্রাসা ছিল দাসপাড়ার প্রতিষ্ঠাতা আমাইড় মৌজার পক্ষে মরহুম মৌলানা কাসিম আলী। দুই মাদ্রাসা একত্রিত করে জহিরিয়া মোম্বাউল উলুম মাদ্রাসা নামে ১৯২৮ ইংরেজিতে জহির উদ্দীন চৌধুরীর দানকৃত বর্তমান জায়গায় (বাঘের টিলা) প্রতিষ্ঠিত হয় ।১৯৫৭ ইং পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি এম, ই মাদ্রাসা হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসে পরে এম, ই মাদ্রাসায় উন্নীত হয় এবং সরকারী স্বীকৃতি পায় (.৬ষ্ঠ শ্রেনী পর্যন্ত) ১৯৫৮ইংরেজিতে এলাকার ছাত্র /ছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ জহিরিয়া এম ই মাদ্রাসাকে নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করার জন্য ৭ম/৮ম শ্রেনি খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন জনাব আব্দুল লতিফ( মরহুম) সাহেব। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ৩০/০৯/১৯৫৯ ইংরেজী তারিখে স্কুলটি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করার জন্য যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন তাহারা হলেন ১। জনাব সিকন্দর আলী চৌধুরী২। জনাব মোঃ খলিলুর রহমান নওয়া বাড়ি তালেপাড়া ৩। মোঃ আব্দুল মতলিব পলিয়া ৪। জনাব ছৈদুর রহমান দাস্পাড়া ৫। জনাব আব্দুল লতিফ দত্তগ্রাম ৬। জনাব মৌলানা মোঃ আব্দুল মতিন প্রধান শিক্ষক জহিরিয়া এম, ইউ এম , ই মাদ্রাসা (বাটপাড়া) ৭। জনাব শফিকুজ্জামান (চুনু মিয়া ) বাটপাড়া ,জনাব আপ্তাব উদ্দীন (বাটপাড়া) ১ম সভাপতি ছিলেন নওয়া গাঁও নিবাসি মরহুম আবরু মিয়া । দ্বিতীয় সভাপতি ছিলেন বালুটিকর নিবাসি মোঃ মোবারক আলী। তৃতীয় সভাপতি ছিলেন মরহুম মোঃ আব্দুল লতিফ পুরান লেন নিবাসি। চতুর্থ সভাপতি মরহুম মোঃ খলিলুর রহমান নওয়া বাড়ি তালেপাড়া। পঞ্চম সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ পলিয়া । ষষ্ঠ সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান তালেপাড়া। উক্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ স্কুলের ছাত্র/ ছাত্রী বৃদ্ধির জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়াতে সচেষ্ট হন। ছাত্রছাত্রী দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৮৯ ইংরেজিতে পরিচালনা পরিষদের এক সভায় বিদ্যালয়টিকে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নতি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৯০ ইংরেজিতে স্কুলে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে স্কুলে নবম শ্রেণী খোলা হয়। আরোপিত শর্ত ১৯৯১ সালে স্কুলে দশম শ্রেণী খোলা হয়। ১৯৯২ ইংরেজিতে স্কুল থেকে ১৩ জন ছাত্র-ছাত্রী এস.এস.সি পরিক্ষায় প্রথম ব্যাচ হিসেবে অংশগ্রহণ করে ৯ জন ছাত্র-ছাত্রী কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ছিল ৭৫%। ০১/০১/১৯৯২ ইংরেজিতে কোন আর্থিক মঞ্জুরী ছাড়াই বিদ্যালয়টি উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।০১/০১/১৯৯৩ ইং তারিখে স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হয়। ০১/০১/১৯৯৫ ইং তারিখে আর্থিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৫ ইং সনে বিজ্ঞান বিভাগ এস.এস.সি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাসের হার ছিল ৯৪.৭৪%। প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন ও সুযোগ্য শিক্ষক মণ্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই বিদ্যালয় এই সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়। ০১/০১/১৯৯৭ ইং সনে বিদ্যালয়ে ব্যবসা শাখা খোলা হয়। বর্তমানে ইহা একটি বহুরূপী পুর্নাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিশিষ্ট মুরব্বী ডাঃ আব্দুল আজিজ উক্ত বিদ্যালয়ে সুনামের সহিত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সাল হইতে অদ্যাবদি বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, দাতা, সংগঠক, যুব সমাজের অহংকার জনাব আতিকুর রহমান অতন্দ্র প্রহরীর মতো বিদ্যালয়ে সার্বিক কল্যাণে সভাপতির দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে বিদ্যালয়কে উত্তর উত্তর সমৃদ্ধির পথে নিয়ে আসছেন।
"জহিরিয়া মোম্বাউল উলূম উচ্চ বিদ্যালয়"
জীবনের সুপ্রভাত।